সংবাদ শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক শ্রীমঙ্গল থেকে অপহৃত কিশোরী গাজীপুর থেকে উদ্ধার, মূল হোতা গ্রেপ্তার শ্রীমঙ্গলে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার বন্যায় ক্ষতিগস্থ মানুষের পাশে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাব ও সারথী ট্রান্সপোর্ট সিলেট সিটি প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন সভাপতি বাবর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাগর ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে শ্রীমঙ্গল সিরাজনগর দরবার শরীফের আয়োজনে বিশাল জশনে জুলুস সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন মৌলভীবাজারে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) পালিত গোলাপগঞ্জে অস্ত্র সহ যুবক আটক শ্রীমঙ্গলে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চা- শ্রমিক ফেডারেশন বিক্ষোভ সমাবেশ
দক্ষিণ সুরমায় চলছে জুয়া ও মাদকের রমরমা ব্যাবসা” জোয়ার বোর্ডের মুল মালিকদের বাঁচাতে আই সি আবুল হোসেনের চলছে, নয়- ছয় খেলা

দক্ষিণ সুরমায় চলছে জুয়া ও মাদকের রমরমা ব্যাবসা” জোয়ার বোর্ডের মুল মালিকদের বাঁচাতে আই সি আবুল হোসেনের চলছে, নয়- ছয় খেলা

 

হলি সিলেট ডেস্কঃ
………………………………………………………………………. হলি সিলেটে”সংবাদ প্রকাশিত হলে নামমাত্র অভিযান, জোয়ার বোর্ডের মুল মালিকদের বাঁচাতে আই সি আবুল হোসেনের চলছে, নয়- ছয় খেলা।

দক্ষিণ সুরমায় নিষিদ্ধ জোয়া ভারতীয় শিলং তীর, নাইট তীর ও শিলং ঝন্ডুমান্ডু, তিন তাস, তাস কাটাকাটি ও .মাদকের তান্ডব । মাদক ও জুয়ার বোর্ডের মালিক( কুখ্যাত জুয়ারী আবুল কাশেম ও তার মেয়ে জেছমিন । জিঞ্জির শাহ মাজারের পাশে সাদুর বাজার বাঁশপালা মার্কেটর ভিতরে ও সুরমা মহলের রয়েছে এ আস্তানা ) ( জামাল পুরাতন রেলস্টেশনের পাশে) রয়েছে তার আস্তানা। আগাছার মত দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে দক্ষিণ সুরমা থানার বিভিন্ন স্থানে কুখ্যাত জুয়ারিদের শীলং তীর নামক জুয়া ও মাদকের রমরমা ব্যাবসা। স্থানীয় প্রশাসন দেখেও না দেখার বান করে প্রতিদিন কামাই করছে অবৈধ টাকা।

সংশ্লিস্ট সূত্রমতে, দীর্ঘদিন থেকে এসব অবৈধ জুয়ার আসর পরিচালিত হয়ে আসলেও স্থানীয় প্রশাসনের ভুমিকা একেবারে রহস্য জনক। কদমতলী ফাঁড়ি পুলিশের কোন ধরণের কোন ভূমিকা নেই বললেই চলে। দক্ষিণ সুরমা থানা ও কদমতলী ফাঁড়ি পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চলছে জুয়ার রমরমা এমন অবৈধ ও সমাজে নিষিদ্ধ ব্যবসা। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে জুয়ার আসর। এতে করে দিনমজুরসহ সাধারণ মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এসব অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ করে দেয়ার জন্য স্থানীয়রা পুলিশ প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে একাধিকবার নালিশও করেন। কিন্তু পুলিশের কিছু আসাধু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে টেকনিক্যাল রোড সংলগ্ন রেলওয়ে কলোনীর বাসিন্দা আবুল কাশেম ও তার মেয়ে জাছমিন,জামাল সহ তার সহযোগীরা তীর শিলং, জুয়ার বোর্ডসহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ ব্যবসা পরিচালিত করে আসছে। রাত হলেও এখানে আনাগুনা শুরু হয় মাদক সেবীদের। আর তীর শিলং থেকে প্রাপ্ত অর্থ চলে যাচ্ছে ভারতে।

স্থানীয় বাসিন্ধারা জানান, মাজার এলাকায় প্রভাবশালী কুখ্যাত জুশারী কাশেম ও তার মেয়ে জেছমিন, জামাল ও হাত কাটা তমিজ নেতৃত্বে এখানে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী জুয়ার সিন্ডিকেট। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এখানে চলে জমজমাট জুয়ার আসর। সাধারণ জনগনের চোখে পড়লেও পুলিশের চোখে পড়েনা কাশেম বাহিনীর তান্ডব। অনেকের অভিযোগ স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির অঘোষিত শেল্টারেই প্রকাশ্যে জুয়া খেলার তান্ডব চলছে।

এসব অপকর্মের কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো তাকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হয়। এছাড়াও এখান থেকে স্থানীয় পুলিশ, কিছু অসাধু সাংবাদিকদের নামে নিয়মিত টাকা আদায় করা হয়। যার ফলে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এসব জুয়ার বোর্ড ছাড়াও দক্ষিণ সুরমায় আরো বেশ কয়েকজন তীর শিলংয়ের এজেন্ট রয়েছে। তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রতিদিনই শিলং তীরের টাকা কালেকশন করে ভারতে পাঠাচ্ছে । এসব তথ্য প্রশাসনে অজানা নয় তবুও আইনের রক্ষকরাই ভক্ষকে পরিনত হয়েছেন বলেই সাধারণ মানুষের দাবী।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কদমতলী ফেরীঘাটের কুখ্যাত জুয়ারী হারুন ও গউছ’র জুয়ার বোর্ড
চাঁদনীঘাট মাছ বাজারে নজরুলের বোর্ড, পুরাতন ক্্রীন ব্রীজের নিচে ভার্থখলা মসজিদের গলি মজনু ও রাহিমার জুয়া ও মাদকের হাট।

নতুন রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ মুখের ডানে , নছিবা খুতুন স্কুলের সামনে আল-আমিনের বোর্ড, সিলেট পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনের মেইন রাস্তার পাশে রেলওয়ের পরিত্যাক্ত বাথরুমমে মিন্টুর বোর্ড, কাজিরবাজার ব্রীজের দক্ষিণপাশে রেলক্রসিং সংলগ্ন ফারুকের বোর্ড, দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে শতাব্দী রেষ্টুরেন্টের পাশে আক্তারের বোর্ড, কদমতলী বাসটার্মিনালে একটি টং দোকানে আপেলের বোর্ড, কদমতলী ফাঁড়ির সামনে বালুর মাঠের কলোনীতে বাছনের বোর্ড, হবিগঞ্জ-সিলেট এক্সপ্রেস বাস কাউন্টারের সামনে আলমগীরের বোর্ড, কদমতলী ফল মার্কেটের ভিতরে সুরমানের বোর্ড।

এসব স্থানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভারতীয় শীলং তীরে, নাইট তীর, তিন তাস, তাস কাটাকাটি, জান্ডুমান্ডু জুয়ার বোর্ডে জুয়া খোলা চলে। জুয়ার বোর্ড থেকে শীলং তীরের নাম্বার ১০/২০/৩০/৫০/১০০/৫০০/১০০০/৫০০০/১০,০০০/ টাকার টোকন বিক্রি করা হয়। এই নাম্বার বিক্রি থেকে প্রাপ্ত লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতিদিনই ভারতে পাচার হলেও পুলিশের ভূমিকা খুবই রহস্যজনক। এছাড়া জান্ডুমান্ডু, তাস কাটাকাটি ও মাদকের রমরমা ব্যাবসা চলে। এসব দেখলে মনে হয় তাদের জন্য আইনআদালত বলতে কিছুই নাই। আর তারা কাউকে মানতেও রাজি নয়। সাংবাদিকদের তো প্রকাশ্যেই হুমকি দিয়ে বসে থাকে।
এলাকর স্থানীয় বাসিন্দাদেব অভিযোগ এদেরকে ধরে টাকা পাচারকারী,মাদক, আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নের মামলা অবৈধভাবে আয় করে বানানো সম্পত্তি খোঁজে সরকারী কোষাগারে জমা করে দিয়ে শাস্তিমুলক আইনের আওতায় আনা উচিত। যাতে করে এদের এমন কঠিন শাস্তি দেখে আর কোনো মানুষ এ ধরনের অপরাধ মুলক কর্মকান্ডে জড়িত না হয়।

সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ, এবং দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ির নামে প্রতিদিন এই জুয়ার আসর থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমানের টাকা উঠানো হয়। এবং এসব জুয়ার বোর্ডের মালিকদের সাথে টার্মিনাল ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল হোসেনের বেশ মধুর সম্পর্ক রয়েছে। এর একটি উদাহরন কদমতলী ফাঁড়ি এলাকায় সবচেয়ে বেশী জুয়ার বোর্ড ও মাদক সেবীদের আস্তানা গড়ে ওঠেছে। যে কোনো অপরাধ কর্মকান্ডকে নির্মুল ও এলাকার শান্তি রক্ষার দায়িত্ব হলো স্থানীয় প্রশাসনের। এদিকে স্থানীয় শান্তিপ্রিয় জনসাধারণের অভিযোগের পাল্লা বেশ ভারী হয়ে ওঠেছে আইসি আবুল হোসের উপর। তিনি এসব কুখ্যাত জুয়ারীদের গ্রেফতার না করে বরং তাদের জামাই আদরে জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করতে দিচ্ছেন কি কারনে। দক্ষিণ সুরমায় একটি থানা প্রশাসন থাকার পরও কদমতলী বাসটার্মিনালে আরো একটি পুলিশ ফাঁড়ি প্রতিষ্টার করনইবা কি? যেই সময়ে সরকার মাদক ও জুয়াকে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে, আর প্রশাসন সেই লক্ষ্যে কাজ করে সফলতা অর্জন করেছে। ঠিক সেই সময়ে কদমতলী পুলিশ ফাঁড়ি জুয়া, মাদক ও অপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে কদমতলী এলাকায় ভারতীয় শিলং তীর, নাইট তীর, জুয়া জান্ডুমান্ডু সহ মাদকের সম্রাজ্য গড়ে ওঠেছে। তাকি রহস্য জনক নয়।এমনই যদি হয় তাহলে প্রশাসনের কাজ কি, তা সাধারন জনগন জানতে চায় প্রশাসনের কাছে।

কদমতলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল হোসেন তাঁর এলাকায় আসল অপরাধীদের না ধরে মাঝে মধ্যে দু/ চারজন অচেনা অজানা লোককে আটক করে আদালতে চালান দিয়ে কর্তৃপক্ষের নজরে আসার চেষ্টা করেন ।
ফলে এস আই আবুল হোসেন প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রায়ই নয়/ ছয় বুঝিয়ে রেখেছেন সন্তুষ্ট। এর পিছনেও রয়েছে অনেক অজানা তথ্য। যা আইসি আবুল হোসেন আরো ভালো জানেন।

কদমতলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল হোসেন, বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে প্রতিবেদককে জানান, কুখ্যাত জুয়ারী কাশেম -জাছমিন, জামাল, হারুন -গউছ, নজরুল – আল-আমিন,বাছন সহ বোর্ড মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাদের কাছেও রয়েছে তবে জুয়া খেলার বোর্ডে হাতেনাতে তাদের না পাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়না। আর আমার সাথে টাকার সম্পর্ক এমন অভিযোগ সঠিক নয়, তাহলে কদমতলী এলাকায় কুখ্যাত জুয়ারীদের ১০/১২ টি জুয়ার বোর্ড নিরাপদে খেলছে কি ভাবে, আর এসব জুয়ার বোর্ড বন্ধ হচ্ছেনা কেন এসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারিনি।

এসএমপি’ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) প্রতিবেদককে জানান এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন :





© All rights reserved © 2021 Holysylhet